চট্টগ্রামে মেলায় ‘ইসলামি বই’ বিক্রি নিয়ে যা বলছে কর্তৃপক্ষ

চট্টগ্রামে মেলায় ‘ইসলামি বই’ বিক্রি নিয়ে যা বলছে কর্তৃপক্ষ

চট্টগ্রামে মেলায় ‘ইসলামি বই’ বিক্রি নিয়ে যা বলছে কর্তৃপক্ষ
চট্টগ্রামে মেলায় ‘ইসলামি বই’ বিক্রি নিয়ে যা বলছে কর্তৃপক্ষ

অনলাইন ডেস্ক: ‘চট্টগ্রামের বইমেলায় ইসলামি বই বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে’- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে এমন দাবি করা হয়। এই দাবিতে বইমেলা বর্জনের আহ্বানও করা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। তবে এ দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন আয়োজকরা। তারা এটিকে অপপ্রচার এবং বিভ্রান্তিকর বলছেন।

কর্তৃপক্ষ বলছে, মেলায় ইসলামি বই বিক্রির ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। বিভিন্ন ইসলামি প্রকাশনী মেলায় স্টল বরাদ্দ নিয়েছে এবং তারা অবাধে বই প্রদর্শন ও বিক্রি করছে। তবে মেলায় স্বাধীনতাবিরোধী এবং জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করে এমন বই বিক্রি বা প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মেলার আয়োজক কমিটি একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) কালাম চৌধুরী সই করা বিজ্ঞপ্তিটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে মেলার আহ্বায়ক ও চসিকের ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু বলেন, মেলায় প্রথম থেকেই কমিটির সিদ্ধান্ত ছিলো, কোনো স্বাধীনতাবিরোধী বই প্রদর্শন বা বিক্রি করা যাবে না। এছাড়া জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করে এমন বই মেলায় থাকবে না। কিন্তু একটি গোষ্ঠী অপপ্রচার চালাচ্ছে যে, মেলায় ইসলামি বই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অথচ এই মেলাতে অনেক ইসলামি প্রকাশক স্টল বরাদ্দ নিয়েছেন এবং তাদের বই অবাধে প্রদর্শন ও বিক্রি করছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মেলায় অনেক ধর্মীয়গ্রন্থ প্রদর্শিত ও বিক্রি হচ্ছে। আঞ্জুমানে রহমানিয়া আহমাদিয়া সুন্নিয়া প্রকাশনা, দ্বীন দুনিয়া প্রকাশনা, মাইজভান্ডারি প্রকাশনা, পাঞ্জেরি প্রকাশনা ও সেলফীসহ অনেক ধর্মীয় পুস্তক প্রকাশনা এ মেলায় অংশ নিয়েছে। তারা তাদের স্টলে বিক্রি করছে বই।

বিবৃতিতে মেলা কমিটি এ ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ এবং সহযোগিতা কামনা করে।

এর আগে রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) থেকে চট্টগ্রামের জিমনেশিয়াম মাঠে ১৯ দিনব্যাপী বইমেলা শুরু হয়। মেলা উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি মেলায় জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয় এরকম এবং স্বাধীনতাবিরোধী বই বিক্রির বিষয়ে কড়া নজরদারি রাখা হবে বলে জানান। আগামী ১০ মার্চ এই বইমেলা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। সুত্র: জাগো নিউজ

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply